হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজ:আমরা সভাবতই চাকরি করি বা চাকরির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে পরিবেশের ক্ষতি করে এরকম প্রতিষ্ঠান গুলোতে শ্রমিক বেশি থাকে এবং কাজ করে। এদিক থেকে চিন্তা করলে দেখা যায় আমরা চাকরিও চাই আবার পরিবেশের কথাও ভাবী। আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি চাকরি এবং পরিবেশের সর্ম্পক তেমন ঘনিষ্ট নয়। যার ফলে পরিবেশের উপর একপ্রকার ক্ষতিকর প্রভাব পরছে। গত ১৫ জুলাই, বুধবার বিকাল ৪.০০ টায় ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওর্য়াক এর যৌথ আয়োজনে “পরিবেশ ও চাকরিকে সমন¦য় করে কিভাবে কাজ করা যায়” শীর্ষক অনলাইন ওয়েবিনারের আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।খবর বাপসনিউজ।আলোচনা সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মো: জাকির হোসেন খান বলেন, পরিবেশকে অবমূল্যান কারনে আমরা এই দূর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছি। উদাহরনসরূপ বলা যায় প্রকৃতি মূল্য নিধারনে গাছ আমাদের পরিবেশে বড় অবদান রাখছে কিন্তু আমরা সেকথা ভুলে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোথাও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয় না। আমরা শুধু ক্যাশক্রপ বা আয় করার চিন্তা করি কিন্তু পরিবেশ যে কতটা ক্ষতি হলো আমরা কখনোই গুরুত্ব দেই না। আমরা পরিবেশের যে ক্ষতি করেছি তার ফলসরূপ হিসাবে প্রকৃতি (করোনা ভাইরাস) আমাদের হারে হারে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের উচিত প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহন করা। কারন পরিবেশকে দূষণ করে আমরা কখনো ভারো থাকতে পারে না ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফরইমসন বলেন, রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে পরিবেশ বান্ধব চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারে। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এজন্য সরসারের উচিত পরিবেশ দূষণ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভর্তকি ও প্রনোদনা বন্ধ করে, পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ করে ভতর্কি ও প্রনোদনা প্রদান করা।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, পরিবেশ বান্ধব চাকরির সুয়োগ সৃষ্টির লক্ষ্যে অযান্ত্রিক যানবাহনকে প্রধান্য দেয়া উচিত। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার গুলো অযান্ত্রিক যানবাহনের নিরাপদে চলাচলের জন্য অবকাঠামোগত সুযোগ নিশ্চিত করা।
সাউথইষ্ট বিশ^বিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবাইদা গুলশান আরা বলেন, পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের যেকোন টেকসই উন্নয়ন করা উচিত কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র সকল উন্নয়নে পরিবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে কি? আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরিবেশকে দূষণ না করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
বায়োস্কপ বাংলাদেশের, সমন¦য়ক আলমগীর হোসেন তরুনদের উদ্দেষ্য করে বলেন, পরিবেশ রক্ষা করার ক্ষেত্রে নিজ উদ্দ্যেগে বা পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করার আহবান জানান।
ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর নেটওয়ার্ক অফিসার শান্তনু বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, জাগরনী ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর মাহামুদুল হাসান এবং বুয়েট ও সাউথ ইষ্ট বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ।
Leave a Reply