1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী- ২০২০ ”বঙ্গবন্ধু এবং একটি দেশের স্বপ্ন”

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৫২ জন পড়েছেন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত একজন মহান মানুষের জন্মশতবার্ষিকী পুরো জাতির জন্যই গৌরবের এবং তার প্রতি বাংলার মানুষের গভীর ভালবাসার প্রতিদান । বঙ্গবন্ধু তার মেধা, প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব , সততা এবং বাঙালির ভালোবাসায় পরিনত হয়েছেন খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক । বঙ্গবন্ধু আমাদের অসাম্প্রদায়িক , প্রগতিশীল ও আধুনিক সোনার বাংলা বিনির্মাণে অফুরান শক্তির উৎস। জনগণই ছিল বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনার কেন্দ্রবিন্দু। নিজের জন্মদিন বা মৃত্যু নিয়ে ভাববার সময় তাঁর ছিল না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র জীবন থেকেই ছিলেন দুরন্ত, সাহসী এবং প্রতিবাদী। অন্যায়কে কখনো তিনি প্রশ্রয় দিতেন না। জাতির জনকের সাহসিকতার উপর ভর করেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন বিজয় – উপহার দিয়েছেন ‘স্বাধীনতা’ নামে একটি শব্দ , সাথে একটি লাল সবুজের পতাকা , প্রানপ্রিয় জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালোবাসি’ ।

”Every great dream begins with a dreamer …” । আর একথা বঙ্গবন্ধুর বেলায় চির সত্য । অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা ’ ইন্দ্রপাত’ এমনি একটি প্রবন্ধ – যাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার একান্ত কথোপকথনের বিশেষ অংশগুলো ফুটে উঠেছে যেমন বঙ্গবন্ধুর একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন, তার রূপকল্প এবং বাস্তবায়নের অনেক কথা । বঙ্গবন্ধু “বাংলাদেশ” নামে একটি স্বাধীন দেশের রূপরেখা নিয়ে চিন্তা করেন সেই ১৯৪৭ সালে। বঙ্গবন্ধু জানতেন সব বাঙ্গালিরা একত্রিত হলে ,বিশ্ব জয়ও করা সম্ভব। ১৯৪৮ সালে শুরু হল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার দাবীতে আন্দোলন , আর বঙ্গবন্ধু এই আন্দোলনে এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই ভাষাভিত্তিক আন্দোলনকে বঙ্গবন্ধু আস্তে আস্তে রূপ দেন দেশ ভিত্তিক আন্দোলনে । তার স্বপ্নের দেশের নাম করন করেন বাংলাদেশ । তারই ধারাবাহিতা দেখতে পাই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি এবং এই #ছয় #দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ । এর পর থেকে বাঙ্গালিদের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে দুটি শব্দ ”বাংলাদেশ” এবং “জয় বাংলা” । জাতির জনকের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না৷
তিনি স্বাধীনতার পাশাপাশি মেহনতি মানুষের #অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছেন – একটি সোনার বাংলা তৈরির মাধ্যমে – যা ফুটে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১এর ৭ই মার্চের স্বাধীনতার ডাকে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” ।

রাজনীতির কবি , স্বাধীনতার স্থপতি এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নিউজউইকে ( ৫ ই এপ্রিল, ১৯৭১) প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপরে লেখা ঐতিহাসিক প্রবন্ধ, যেখানে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং রাজনীতির কবি হওয়ার পেছনের অনেক যুক্তি ও পর্যালোচনা ।

একটি নতুন “বাঙালি জাতির” একজন অভিজাত নেতা হিসাবে মুজিবের উত্থানটি ছিল তার সারাজীবনের যৌক্তিক ফলাফল এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্য লড়াই – বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রামে তার উপস্থিতি কোন দুর্ঘটনা ছিল না। একজন বাঙালি ( ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি), ধূসর চুল , সতর্ক কালো চোখ – বঙ্গবন্ধু তার সমাবেশে এক মিলিয়ন লোকের ভিড়কে তার সম্মোহনী বক্তৃতা দিয়ে আকৃষ্ট করতে পারতেন ।বঙ্গবন্ধু একজন আসল চিন্তাবিদ হওয়ার ভান করছেন না। তিনি রাজনীতির একজন কবি, একজন সমরবিদ বা প্রকৌশলী নন, কিন্তু বাঙালিরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেশি শৈল্পিক বলে মনে করেন মার্কিন সাংবাদিক লরেন জেঙ্কিন্স এবং তাই বঙ্গবন্ধুর শৈলীটি এই অঞ্চলের সকল শ্রেণী ও মতাদর্শকে একত্রিত করার জন্যই প্রয়োজন ছিল ।
এই অর্থনৈতিক মুক্তির (দ্বিতীয় বিপ্লব ) প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি সব রাজনৈতিক দল নিয়ে #১৯৭৫ সালে তৈরি করেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল ) – যার মাধ্যমে তিনি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – ক্ষমতা, সুযোগ সুবিধা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে । কিন্তু তিনি তা করে যেতে পারেননি ।
জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানা ’সোনার বাংলা’ বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্যে হাতে নিয়েছেন অনেকগুলো স্বল্প মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা – তারই একটি অন্যতম প্রকল্প – ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১, ২০৪১ । এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ, প্রশাসন পাচ্ছ্বে তথ্য এবং যোগাযোগের মাধ্যম এবং ব্যবহারের সুযোগ । মানব সম্পদের উন্নতি করা হবে – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ঘিরে – নতুন নতুন ব্যাবসা , বাণিজ্যিক মডেল এবং উদ্ভাবনের সুযোগ থাকবে – তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ।
পরিবর্তনের অগ্রদূত , জননেত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন বিষয়সূচি (Sustainable development Goals, SDGs, Transforming the world, জাতি সংঘ , ২০৩০) বাস্তবায়ন নিশ্চয়তা প্রদান করেন -যা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১, ২০৪১ তথা একটি উন্নত মধ্যে আয়ের দেশে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ ( SDGs ) ও ডিজিটাল বাংলাদেশ একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে । ইতিমধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের ১৬৯ টি লক্ষের মধ্যে ৬১ টি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেছে এবং ১০৩ টি লক্ষ শেষের দিকে এবং বাংলাদেশ স্বল্পউন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতার সবগুলো সূচক পূরণ করেছে । এভাবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রূপ নেবে এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন তার কাজে, বাঙালির ভালোবাসায় , চিন্তায় এবং চেতনায় এবং বেঁচে থাকবেন তার আদর্শ বাস্তবায়নে চিরকাল –

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার,
শেখ মুজিবুর রহমান !”

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু !

লেখকঃ মাহফুজুর রহমান ভূইয়াঁ, প্রধান প্রোডাক্ট আর্কিটেক্ট, টেলিয়া কোম্পানি , সুইডেন
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, ইউরোপ
সাবেক সহসভাপতি বাংলাদেশ ছাত্র লীগ , বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা , ঢাকা

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: