মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):- ধর্ষন প্রতিরোধে শার্শা উপজিলায় মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ৭ দফা দাবি নিয়ে এখানকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এই মানব বন্ধনে অংশ নেয়।
বুধবার(৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে শার্শার নাভারন-সাতক্ষীরা মোড়ে মানব বন্ধন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে এই দাবি গুলো তুলে ধরা হয়। “হারবে ধর্ষক, জিতবে দেশ, ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ “এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যা,ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবিতে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের এই স্থানটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের ব্যানার নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে মৌন সমর্থন দিতে থাকে।
মানব বন্ধনে উঠে আসা দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে- (১) ধর্ষণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা।
(২) ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় র্যাব, বিজিবি, পুলিশের যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা। (৩) ধর্ষন জনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পাদনা নিশ্চিত করা। (৪) ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা। (৫) ইতিপূর্বে সকল ধর্ষন মামলার রায় ৬মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা। (৬) ধর্ষন ও অপরাধ প্রতিরোধে নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন করা।(৭) ধর্ষণ কারী ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা।এবং আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসব দাবির সমর্থন দিয়ে মানব বন্ধনে যোগ দেওয়া নেতৃবৃন্দরা হলেন- নাভারণ মহিলা কলেজের অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ, যশোর জিলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিযয়ক সম্পাদক- আসিফ উদ-দৌলা সরদার অলোক, মানবাধিকার হেল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান, যশোর জিলা সেবক সংগঠনের সভাপতি- মতিয়ার রহমান, ঝিকরগাছা উপজিলার নাভারণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- শাহজাহান আলী, নাভারণ মহিলা কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বুলি, শার্শা উপজিলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক- বৌদ্ধনাথ কুমার,সালমা খাতুন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি,সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল ইসলামসহ আরও অনেকে।
মানব বন্ধনে অংশ গ্রহনকারী বক্তারা বলেন, সারা দেশের ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পৃক্ত। নিপীড়ন ও ধর্ষণকারীরা জানেন তাদের কোনো বিচার হবে না, শাস্তি হবে না। এ কারণেই তারা যা খুশি তাই করছেন। বিগত বছর চেয়ে চলতি বছরে ধর্ষণ অনেক গুন বেড়ে গেছে।বক্তরা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ, সিলেট-খাগড়াছড়িসহ সারাদেশে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
তারা আরও বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাওয়ার কারণেও এমন নেক্কারজনক ঘটনা বারবার ঘটছে। বক্তারা মানব বন্ধনে প্রতিশ্রুতি দেন- ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটার কেউ সাহস করলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্যাতিতার পক্ষে সর্বাত্মক সহায়তা করবে আজকের এই সামাজিক সংগঠনগুলো।
প্রেরক:- মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন
বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শা,যশোর।
মোবাইল:-০১৭৯১৩১২১১১।
Leave a Reply