ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম সব পর্যায়ে উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার।

বুধবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়কের ডিভাইডারের ষ্ট্রিট লাইটের উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

রমেশ চন্দ্র সেন আরো বলেন, সরকারের দায়িত্ব সব এলাকার উন্নয়ন করা। যাতে করে মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়। সকলেই সমানভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে। আমরা সে কাজটি করেই চলেছি। কোথাও কোনো ভেদাভেদ রাখা হয়নি। যার বাস্তব প্রমান আজ আমাদের এই ঠাকুরগাঁও। একটা সময় কি ছিলো আজ কি হয়েছে। এই খুব শীঘ্রই এই সরকারের মাধ্যমেই আমাদের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা একটি মডেল উপজেলা রুপান্তর হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, আজ প্রতিটি জায়গায় এই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আমরা চাই শুধু উন্নয়ন। ক্ষমতায় এসে আমরা জনগনের কল্যাণে কাজ করছি। কিন্তু বিএনপি কখনো দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেত পারে না। তারাও ক্ষমতায় এক সময় ছিলো। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। তারা শুধু ক্ষমতাকে নিজের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করেছে। জনগণ কিছু পায়নি।

এমপি রমেশ আরো বলেন, আওয়ামী লীগই শুধু দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নতি হয়। দেশের মানুষের কল্যাণ হয়। বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। যা ইতিমধ্যে আমরা প্রমানও করেতে পেড়েছি।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুরুল আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম,সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন,সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম গোলাম ফারুক রুবেল,অ্যাড মোস্তাক আলম টুলু, ,জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন,প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমূখ।

উল্লেখ্য : সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড হতে রোড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তায় নির্মিত হয়েছে স্ট্রিট লাইট বা সড়কবাতি স্থাপনের কাজ। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে চলতি বছরের মে-জুন মাস থেকেই প্রায় ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে জেলা শহরের ৬ কিলোমিটার রাস্তার ডিভাইডারের মাঝখানে সড়কবাতি নির্মাণ কাজ শুরু হয়।