শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী: ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চেতনায় বিশ্বাসী যুবকদের নিয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ”।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উৎসাহে শেখ ফজলুল হক মনি’র হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বর্তমানে বাংলাদেশে যুব সংগঠন গুলোর মধ্যে সেরা সংগঠন হিসেবে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ যথাক্রমে রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ ৭ বছর পর জেলা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় সংগঠনটিতে ফিরেছে সাংগঠনিক চাঞ্চল্য।

কঠোরপন্থী আওয়ামী পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মেধাবী ও তুখোড় যুবনেতা বর্তমান জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সেজানুর রহমান সেজান হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে রাজশাহী জেলার অন্যতম সিপাহসালার হিসেবে কাজ করার জন্যই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন তুলেছেন।

আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা সেজানুর রহমান সেজান ছাত্র জীবনের শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু করেছেন রাজনৈতিক পথচলা।

আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ সেজানুর রহমান সেজান ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর গঠিত বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (স্বপন-মামুনুর) সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর গঠিত বাগমারা উপজেলা যুবলীগে ( মামুন-জলিল) কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ এরপর তিনি ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ গঠিত রাজশাহী জেলা যুবলীগের ( আবু সালেহ- খালেদ ওয়াশি কেটু )  সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর থেকে তিনি বাগমারা উপজেলা যুবলীগ ও জেলা যুবলীগকে শক্তিশালী করতে অদ্যাবধি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছেন৷ এছাড়াও তিনি বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙা ইউনিয়নে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী গঠিত ( আজাহার- কাঞ্চন ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবেও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে ১৯৯৬ এর জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সকল নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ। সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীতেও রয়েছে তাঁর সরব অংশ গ্রহণ। সর্বশেষ তিনি ২১ জুন-২০২৩ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে বিজয়ী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে গণ আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৪ সালে নওগাঁ ডিগ্রী কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অংশগ্রহন ও ১৯৭৯ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অনার্স সমিতির নির্বাচনে ডিপি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সাল হইতে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা

মন্ডলীর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ই নভেম্বর ২০২০ ইং সাল থেকে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পুনরায় সহ-সভাপতি ও বর্তমান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসাবে আজ অবধি দায়িত্ব পালন করছেন।