করোনাভাইরাসের আদ্যোপান্ত
কোভিড-১৯ কি
সারা বিশ্বই এখন কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত। প্রায় ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এটি একটি সংক্রামক রোগ যা করোনাভাইরাস নামক একধরনের ভাইরাসের আক্রমণে হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস মানুষের শ্বাসনালীতে সংক্রমন সৃষ্টি করে। করোনাভাইরাসের এই আক্রমণ বিশ্বে নতুন নয়।এর আগে ২০০৩সালে চায়না, হংকং সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সার্স এবং ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মার্স আক্রমণ এই করোনাভাইরাসের কারণে হয়। তবে কোভিড-১৯ অতীতের সকল করোনাভাইরাস আক্রমণকে হটিয়ে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে।চীনে তার মহামারী রূপ প্রদর্শনের পর এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রধান আক্রমন স্থল হিসেবে আছে ইউরোপ ও আমেরিকা। ইতিমধ্যে ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং সর্বোচ্চ আক্রান্ত আমেরিকাতে প্রায় সোয়া ১ লাখ। সারা বিশ্বই লকড ডাউন হয়ে আছে এই ভাইরাসের কারণে। বৈশ্বিক অর্থনীতিও সম্পূর্ন স্থবির আছে।
উৎপত্তি ও নামকরণ
কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী করোনা ভাইরাসটি চীনের উহান প্রদেশ হতে উৎপত্তি হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, ভাইরাসটি বাদুড় হতে উৎপত্তি হয়ে মাঝামাঝি আর একটি বাহকের (বনরুই) মাধ্যমে ছড়িয়ে মানবদেহে প্রবেশ করেছে।কোভিড-১৯ এক ধরনের করোনাভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।এই করোনা ভাইরাসটিকে বলা হচ্ছে ‘নভেল করোনা ভাইরাস-২০১৯’। কেন এই নাম?করোনাভাইরাস এর ‘করোনা’ নামটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Corona’ থেকে যার অর্থ ‘মুকুট’ বা ‘হার’। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে (ভাইরাস দেখার জন্য ব্যবহ্রত এক ধরনের অণুবীক্ষণ যন্ত্র) এই ভাইরাসের বাইরের অংশ দেখতে মুকুটের মত মনে হয় তাই বিচিত্র এই নামকরণ ।আর যেহেতু এই ভাইরাসটি অতীতের অন্যান্য করোনা ভাইরাস (যেমন – সার্স, মার্স) থেকে জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে ভিন্ন তাই বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের সাধারণ নাম দিয়েছে ‘নভেল করোনা ভাইরাস-২০১৯’। ভাইরাস নামকরণের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘International Committee on Taxonomy of Viruses (ICTV)’ এই নভেল করোনা ভাইরাসের বিবর্তনগত ও জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে এর নামকরণ করেছে ‘Severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 (SARS-CoV-2)’ বা সার্স করোনা ভাইরাস-২।
কিভাবে ছড়ায়!
কোভিড-১৯ সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ বা হাঁচি ও কাশির ফলে নির্গত জলীয় কণার (respiratory droplets) মাধ্যমে ছড়ায়। হাঁচি এবং কাচির মাধ্যমে কোন অসুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে ভাইরাস সরাসরি অন্য কোন সুস্থ মানুষের শরীরে অথবা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানভেদে ভাইরাস সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে।যেমনঃ বাতাসে ৩ ঘণ্টা;পেপার,ফেব্রিক্স,কার্ডবোর্ডে ২৪ ঘণ্টা এবং স্টিল, প্লাস্টিকের উপরে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এই ভাইরাস বেচে থাকতে পারে। ভাইরাস কোন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করার পর ফুসফুসে অবস্থিত আক্রান্ত কোষের ‘ACE 2’ নামের একটি রিসেপ্টরে (ভাইরাস যুক্ত হওয়ার স্থান) তার স্পাইক প্রোটিন (ভাইরাসের সংক্রমণক্ষম বহিঃস্থ প্রোটিন) যুক্ত করার মাধ্যমে সংক্রমণ শুরু করে।আক্রান্ত কোষকে ব্যবহার করে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ও জৈব-রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে ভাইরাস তার নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তোলে। কোভিড-১৯ এ কেউ আক্রান্ত হলে সাধারণত ৫-৬ দিনের মধ্যে তার উপসর্গ দেখা যায়; তবে সম্পুর্ন নিশ্চিত হবার জন্য রোগীকে ১৪ দিন পর্যন্ত অবজারভেশন বা কোয়ারেনটাইন এ রাখা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত যেসব লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় তা হল –তীব্র জ্বর, শুষ্ক কাশি, ও শ্বাসকষ্ট,অন্যান্য লক্ষণসমুহের মধ্যে আছে –গলা ব্যাথা, মাংসপেশীর ব্যাথা, ডায়রিয়া, ঘ্রাণহীনতা।এই রোগে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিঊমোনিয়া ও বহুবিধ-অঙ্গাণু বিফল হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে কোন এমন লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে ।
image.pngimage source:https://www.shutterstock.com/image-vector/covid19-novel-coronavirus-disease-prevention-infographic-1643149033
সনাক্তকরণঃ
কোভিড-১৯ সনাক্ত করার জন্য Reverse transcription polymerase chain reaction (RT-PCR) পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কোন ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্র থেকে নমুনা গ্রহণ করে টেস্টিং কিটের মধ্যে নেয়া হয়। যেহেতু করোনা ভাইরাস একটি আরএনএ (RNA) ভাইরাস তাই ‘রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন’ প্রসেসের মাধ্যমে ডিএনএ (DNA) নমুনায় রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে পলিমারেজ চেইন রিএকশনের (PCR) মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কার জিনের উপস্থিতির ভিত্তিতে এই ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে এই প্রক্তিয়ায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী বলেই বিবেচিত হয়।এছাড়াও, Chest X-ray এর মাধ্যমে নিউমোনিয়ার উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেও এই কোভিড-১৯ রোগ সনাক্ত করা যায়। আমেরিকার Food and Drug Administration(FDA) গত ২১শে মার্চ, ‘Abbott ID NOWTM COVID-19’ নামে একটি মলিকুলার পয়েন্ট-অফ-কেয়ার ডায়াগনষ্টিক টেস্ট অনুমোদন দিয়েছে যার মাধ্যমে সাধারণত ১৫ মিনিটের মধ্যে আক্রান্ত রোগীর দেহে নভেল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সনাক্ত করা যায়।
প্রতিরোধঃ
কোভিড-১৯ রোগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।সঠিক খাদ্যাভাস, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, এবং ঘরে-বাহিরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।ব্যক্তিগত ও পরিবেশগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন। বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে ও আশেপাশের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত রাখতে পারি। সাধারণত জীবাণুকে মারার জন্য যেসব পদার্থ আমরা ব্যবহার করে থাকি সেগুলো বাজারে জীবাণুনাশক নামে পরিচিত। যেমনঃ এন্টিসেপটিক (স্যাভলন, সাবান, স্যানিটাইজার) ও ডিসইনফেকট্যান্ট (ব্লিচিং পাঊডার, হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড) । এন্টিসেপটিক ও ডিসইনফেকট্যান্ট উভয়ই জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। তবে এন্টিসেপটিক শুধুমাত্র জীবিত কোষ বা আমাদের দেহের বাহ্যিক অংশে ব্যবহারযোগ্য। অন্যদিকে, ডিসইনফেকট্যান্ট জড় বস্তুর পৃষ্ঠতল বা ভূতল এ ব্যবহারযোগ্য। তাই আমরা আমাদের শরীরে বিভিন্ন বাহ্যিক অংশে এন্টিসেপটিক ব্যবহার করতে পারলেও ডিসইনফেকট্যান্ট ব্যবহার করা উচিত নয়, কেননা তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডিসইনফেকট্যান্ট বাসার ফ্লোর, সিড়ি, লিফট বা আশেপাশের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা যায়।
করমর্দন,হাঁচি, কাশি এবং হাতের স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই হাতের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। হাত জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য আমরা সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে থাকি। হ্যান্ড ওয়াশ হিসেবে সাধারণত তরল সাবানকে ব্যবহার করা যায় এবং এই ভাইরাস মারার জন্য সাবান অধিক উপযোগী। করোনাভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস যার বাইরে লিপিড-প্রোটিন এর একটি আবরণ থাকে। সাবান ক্ষারীয় বিধায় এই লিপিড-প্রোটিন আবরণ কে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। ফলে ভাইরাস মারা যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনামতে, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে খুব ভালভাবে হাত ধুতে হবে।আমেরিকার স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ও সাবান ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। পানি সহজলভ্য না হলে অথবা সাবান ব্যবহার করা না গেলে কেবল স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজারে এলকোহলের ঘনত্ব ৬০ -৭০% এর মধ্যে থাকতে হবে বলা হচ্ছে।শুধু নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পারলেই যে আমরা এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো বিষয়টা এমন নয়। আমাদের নিয়মিত ব্যবহার্য, চারপাশের পরিবেশকেও রাখতে হবে জীবাণুমুক্ত। এন্টিসেপ্টিক যেমন স্যাভলন, ডেটল আমাদের শরীর বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জীবাণুমুক্ত ও ব্যবহার্য কাপড় ধৌত করার জন্য ব্যবহার করতে পারি।এক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া পণ্যের মোড়কে উল্লেখিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে তা ব্যবহার করা উত্তম। চারপাশের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য ডিসইনফেক্ট্যান্ট ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে ডিসইনফেক্ট্যান্ট হিসেবে ব্লিচিং পাউডার বহুল জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে বেশী ঘনত্বের (১ঃ১০) দ্রবণের জন্য ২ লিটার পানিতে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার মেশাতে হবে যা অধিক সংক্রামক বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, আক্রান্ত মৃতদেহ ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে, কম ঘনত্বের (১ঃ১০০) দ্রবণের জন্য ২০ লিটার পানিতে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার মেশাতে হবে যা সাধারণ পরিস্কারের কাজ যেমন আসবাবপত্র, যন্ত্রাংশ, ফ্লোর, গাড়ী ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্লিচিং সলিউশনকে অন্য কোন ক্লিনজিং এজেন্ট (যেমন-অ্যামোনিয়া ) এর সাথে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা যাবে না এবং যারা এই ডিসইনফেক্ট্যান্ট স্প্রে অথবা পরিবেশে ছিটিয়ে দেয়ার কাজ করবে তাদের খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কেননা ডিসইনফেক্ট্যান্ট আমাদের শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ নানাবিধ সমস্যার সৃস্টি করতে পারে। ডিসইনফেক্ট্যান্ট বিভিন্ন টক্সিক যৌগ এবং ক্যানসার এর জন্য দায়ী হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ডিসইনফেক্ট্যান্ট ব্যবহার পরিবেশের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ডিসইনফেক্ট্যান্ট ক্ষতির দিক বিবেচনায় রেখে এর পরিমিত এবং উপযোগী ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত রাখতে পারি।
প্রতিকারঃ
নভেল করোন ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর কোন ভ্যাক্সিন এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। নিষ্ক্রিয় বা মৃত ভাইরাস, ভাইরাসের কোন উপাদান যেমন তার স্পাইক প্রোটিন এর জেনেটিক তথ্য ব্যবহার করে বর্তমানে এই রোগের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। এন্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে বিভিন্ন ল্যাবে বিজ্ঞানীরা Remdesivir, Chloroquine, Hydroxychloroquine, Ritonavir/ Lopinavir এর কার্যকরীতা পরীক্ষা করা হচ্ছে।এছাড়াও ইন্টারফেরন, এন্টি-সাইটোকাইন এর কার্যকরীতাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রতিকারই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি । তাই সবচেয়ে সেরা প্রতিকার হবে নিজের শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা। নিজস্ব স্বাস্থ্যবিধি, সঠিক জীবনধারা বজায় রাখা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে পারি। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, মধু এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব ।
কোভিড-১৯ ও বাংলাদেশঃ
আইইডিসিঅআর থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (৩০ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত) বাংলাদেশে সর্বমোট রোগী পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩৩৮ জনের যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৯ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যবরন করেছেন ৫ জন এবং এই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে টেস্টিং কিট ও দক্ষ-জনবল বাড়াতে হবে। সনাক্তকরণের পরে তাদের সঠিক চিকিৎসার দিকে নজর দিতে হবে।
সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে মাস্ক ,সাবান, স্যানিটাইজার,হ্যান্ড গ্লোভস প্রভৃতি বণ্টন করতে হবে।
কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি পাড়া- মহল্লা সচেতনতা কমিটি গঠন করা উচিৎ যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মসজিদ- মন্দির সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা থাকবেন। আমাদের মনে রাখতে,আমরা সচেতন না হলে কোন অবস্থাতেই এই মহামারী থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারবো না
তথ্যসূত্রঃ
১। উইকিপিডিয়া, আইইডিসিআর, ডব্লিউএইচও, সিডিসি ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা অবলম্বনে।
লেখকঃ মাকসুদুর রহমান শিহাব, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
email:shihabmaksudur5@gmail.com
কৃতজ্ঞতাঃ মোঃ ইকরামুুুল করিম , লেকচারার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply