এই বিস্তৃর্ণ জনপদ আর আন্তঃনগরীয় শাটল ট্রেনের কামরায় বহু আলাপন জমিয়ে পথ শেষ করার মত- মানুষ আমার লাগেনা। এক কাপ গরম চা’য়ে একপিছ চা চুষে খাওয়া বিস্কিট হলে আমার শত মাইলের যাত্রা শেষ হয়ে যায় অনায়াসে। আমি আমাতে আসক্ত হয়ে গেছি—ছেড়ে যাওয়া শরীর আর বিষিয়ে যাওয়া মনের তিক্ততায়।
দিনের পর দিন একাকিত্বের সাথে বসবাস করেছি! আমার এখন কাউকে লাগেনা। পথের পর পথ হেঁটেছি একটা বিশ্বস্ত হাত বিহীন; কথা জমিয়ে নিকোটিনে বেঁধেছি ফুসফুস। আমার এখন কাউকে লাগেনা।
মানুষ সময়ের পালাবদলে একাকিত্বের সাথে সম্পর্ক গড়তে অভ্যস্ত হয়ে গেলে- “এই পৃথিবীর আর কাউকে একাকিত্ব গুছিয়ে দেবার জন্য- প্রয়োজন পড়েনা”। নিজেকে একবার বিশ্বাস করে ভালোবেসে নিলে কারো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করা লাগেনা।
আস্ত একটা একা রাত একবার কেঁদে নিলে- মানুষ প্রচন্ড একাকিত্বেও আর কাঁদতে পারেনা। মানুষের জন্য মানুষ কাঁদে স্বার্থের ভীষণ প্রয়োজনে, স্বার্থ ছাড়া মায়া কান্না হয়, বুক নিড়িয়ে কান্না আসেনা।
তাই—আমার এখন কাউকে লাগেনা (!)
এই নশ্বর পৃথিবীতে স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষের বানানো গল্পে না-বলা অনেক চরিত্র রোজরাতে ছটফটিয়ে মরে; শুধু বুক চিতিয়ে বাঁচতে না-জানার ভীষণ রকমের অজ্ঞতায়। আমি পাগল বৈকি অজ্ঞতা নেই; আমার শুধু আমারে লাগে, আর কাউরে লাগেনা।
Leave a Reply