1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিমা ভাংচুর: ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন আ.লীগ নেতা টুলু

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৬৭ জন পড়েছেন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হঠাৎ এক রাতে তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছে দুর্বৃত্তরা। আর এই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু।

সোমবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে ১৪টি মন্দির পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আলম টুলু। এসময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে সাহস দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আলম টুলু বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। এখানে কারও সাথে কারও বিদ্বেষ নেই। হঠাৎ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর এই ঘটনাটি আমাকে হতভম্ব করেছে। সত্যিই আমি মর্মাহত হয়েছি।

তিনি বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশের মৌলিক আদর্শ ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হেনেছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

মোস্তাক আলম টুলু বলেন, এই আঘাত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলে আঘাত। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামকে ব্যাহত করতেই একটি চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করি।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনও স্থান নেই মন্তব্য করে মোস্তাক আলম টুলু বলেন, এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। আশা করি পুলিশ-প্রশাসক অচিরেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের ১৪ টি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, চাড়োল ইউনিয়নে একটি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।

ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত একটি হরিবাসর মন্দির, একটি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, পাঁচটি মনসা মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির ও একটি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।

এছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে একটি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে একটি বুড়া-বুড়ি মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির, একটি আমাতি মন্দির এবং একটি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে হামলাকারীরা। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে তারা।

এ ঘটনায় রোববার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডির হরিবাসর মন্দির কমিটির সভাপতি যতীন্দ্রনাথ সিংহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: